প্রকাশিত: Sun, May 12, 2024 12:08 PM
আপডেট: Fri, May 9, 2025 7:37 PM

[১] রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাংক নিয়ে ব্যাপক হামলা [২] হামাসের সঙ্গে চলছে তুমুল লড়াই

সাজ্জাদুল ইসলাম : [৩] যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ উপেক্ষা করে গাজার রাফাহ নগরীর পুর্বাঞ্চলে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার রাফাহর পূর্বাঞ্চল ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি ট্যাংক। পূর্ব ও পশ্চিম রাফাহকে পৃথককারী মাঝামাঝি সড়কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সূত্র : রয়টার্স

[৪] স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, শুক্রবার প্রায় সারা দিন রাফাহর পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে  সেখানে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ যোদ্ধাদের প্রচন্ড লড়াই চলছে। বহু ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়েছে।

[৫] হামাস জানিয়েছে, রাফাহর পূর্বাঞ্চলে একটি মসজিদের কাছে একাধিক ইসরায়েলি ট্যাংকের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তাদের যোদ্ধারা। এতে বোঝা যাচ্ছে, রাফাহ সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি ট্যাংক।

[৬] সোমবার রাফাহর পূর্বাঞ্চল ছেড়ে যেতে বাসিন্দাদের নির্দেশ দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ফিলিস্তিনি রাফা ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। 

[৭] একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে পশ্চিম রাফাহর তাল আল-সুলতান এলাকার বাসিন্দা আবু হাসান (৫০) রয়টার্সকে বলেন, এখানে কোনো নিরাপত্তা নেই। রাফার কোনো অংশই এখন আর নিরাপদ নয়। শুক্রবার থেকে সর্বত্র ট্যাংকের গোলা পড়ছে। 

[৮] আবু হাসান বলেন, ‘আমি রাফা ছেড়ে যেতে চাইছি। তবে পরিবারের জন্য ২০০০ ইসরায়েলি শেকেল (প্রায় সাড়ে ৬২ হাজার টাকা) দিয়ে একটি তাঁবু কেনার সামর্থ্য আমার নেই।’ তিনি আরও বলেন, এমনকি দখলদার বাহিনী কর্তৃক ঘোষিত রেড জোনে না পড়া সত্ত্বেও পশ্চিম রাফাহ থেকেও অনেকেই সরে যাচ্ছেন।

[৯] অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও মিসরের মধ্যে একমাত্র ক্রসিংটির দখল নিয়ে রাফাহর পূর্বাঞ্চলকে দক্ষিণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে ইসরায়েল। শুক্রবার সালাহউদ্দিন সড়কে অগ্রসর হয় ইসরায়েলি ট্যাংক। এতে পশ্চিমাঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করে ‘রেড জোন’ ঘোষিত পুরো পূর্ব রাফাহ ঘিরে ফেলে ইসরায়েলি বাহিনী।

[১০] এদিকে পূর্ব জেরুজালেমে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ দপ্তরে অগ্নিসংযোগ করেছেন ওই এলাকায় বসতি স্থাপনকারী ইহুদি বিক্ষোভকারীরা। এরপর দপ্তরটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে জাতিসংঘ। আনরোয়ার লাজ্জারিনি বলেন, এটি অত্যন্ত জঘন্য ঘটনা। সম্পাদনা: এম খান, রাশিদ